পাবনার ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের দুদিন পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিকিমথের গাড়িচালক সম্রাট খানের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ মার্চ ) সকালে পাবনার শিলাইদহ ঘাট এলাকা থেকে প্রাডো জিপ গাড়ির সিটের পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সম্রাট ঈশ্বরদী পৌর শহরের মধ্য অরণকোলা আলহাজ্ব ক্যাম্প এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ সীমা খাতুন নামের এক নারীকে আটক করেছে। নিহত সম্রাটের সম্রাট সাদিয়া নামে সম্রাট কন্যা আছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিকিমথ কোম্পানির পরিচালকের গাড়ির চালক ছিলেন সম্রাট খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রাডো গাড়ি নিয়ে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফিরেননি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা যায় সম্রাট নিকিমথ কোম্পানির আরেক গাড়িচালক উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের আব্দুল মমিনের বাড়িতে গিয়েছিল। রাত ৯টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুল মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে আটক করে। একপর্যায়ে সীমা খাতুন স্বীকার করেন সম্রাটকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ বস্তায় ভরে প্রাডো গাড়িতে তুলে মমিন নিয়ে গেছে। শনিবার শনিবার সকাল ৮টার দিকে পাবনার শিলাইদহ ঘাট এলাকায় গাড়ির মধ্যে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, গাড়ি চালক সম্রাট খানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।