দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন ইসি। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি। তফসিল ঘোষণার পরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর পরিষদের উদ্যোগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনার উপ সচিব আতিয়ুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় হচ্ছে ৩০ নভেম্বর। এরপর ১–৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বাছাই আর ১৭ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের সময় শেষে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হবে। তার তিন সপ্তাহ পর ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ,১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে। ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ–সচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত ইসির নির্দেশনা বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে সেগুলো অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ করতে দেখা যায়।
ইসি কর্মকর্তারা বলেছেন, ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকে নিজ নির্বাচনী এলাকায় শহর, গ্রামেগঞ্জে নানা ধরনের পোস্টার, লিফলেটসহ প্রচারপত্র করেছেন। সংশ্লিষ্টরা প্রার্থী হলেই তাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে পারে।
আচরণবিধি না মানলে প্রার্থী বা তার সমর্থকের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলসহ নিবন্ধিত দলকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করারও বিধান রয়েছে।