নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- ২১ জুন বছরের দীর্ঘতম দিন বা কর্কটক্রান্তি দিবস। এই দীর্ঘতম দিনে আকাশ মেঘমুক্ত থাকা সাপেক্ষে সারা দেশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
ঢাকার স্থানীয় সময় দুপুর ১১টা ২৩ মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। দুপুর ১টা ১২ মিনিটে সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় ও দুপুর ২ টা ৫২ মিনিটে গ্রহণ শেষ হবে।
সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে ঘুরছে, একইসাথে চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। সূর্য ও পৃথিবীকে নিয়ে একটি তল কল্পনা করলে চাঁদ সাধারণতঃ সেই তলে থাকে না। কিন্তু কোনো কোনো অমাবস্যায়, পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চাঁদ সেই তলে একই সরল রেখায় চলে আসে। সূর্য চাঁদের আড়ালে চলে যায় এবং চাঁদের সঙ্কীর্ণ ছায়া তখন পৃথিবীর বুকে ভ্রমণ করে। সেই ছায়া যেসব জায়গার ওপর দিয়ে যায় সেখান থেকে মনে হয় সূর্য ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে। ছায়ার কেন্দ্রে যেসব অঞ্চল পড়বে সেখান থেকে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। কেন্দ্রের বাইরে আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে| বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ তুলনামূকভাবে পৃথিবীর কাছে থাকায় চাঁদের কৌণিক ব্যাস সূর্যের কৌণিক ব্যাস হতে কম থাকে। ফলে পূর্ণগ্রহণ হলেও চাঁদ সূর্যকে পুরো ঢাকতে পারে না, সূর্য বলয় আকারে চাঁদের ছায়ার চারদিকে দেখা দেয়|
অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মো. শাহজাহান মৃধা জানান, সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এক্সরে ফিল্ম, নেগেটিভ, ভিডিও বা অডিও ক্যাসেটের ফিতা, সানগ্লাস, ঘোলা বা রঙিন কাচে এসব ক্ষতিকর অতিবেগুনী ও অবলোহিত রশ্মি আটকায়না। তাই কোনক্রমেই এগুলো দিয়ে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যাবেনা।
অনুসন্ধিৎসু চক্রের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগ আরো জানিয়েছে, ১৩ ও ১৪ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস বা আর্ক গ্লাস দিয়ে নিরাপদে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যায়। ১১ গ্রেডের ওয়েল্ডিং কাচ দিয়েও গ্রহণ দেখা যাবে, তবে সেক্ষেত্রে দুটি কাচ একত্রে জোড়া দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। তবে কোন ফিল্টার দিয়েই একনাগাড়ে বেশিক্ষণ তাকানো যাবে না। সোলার ফিল্টার ছাড়াও পিনহোল ক্যামেরা দিয়ে কোনো কাগজ বা পর্দার ওপর সূর্যের প্রতিবিম্ব ফেলে গ্রহণ দেখা যেতে পারে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে চোখের যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনপূর্বক সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ সম্পর্কিত তথ্যের জন্য সর্বসাধারণকে অনুসন্ধিৎসু চক্রের কেন্দ্রীয় দপ্তর ৪৮/১, দক্ষিণ মুগদাপাড়া, ঢাকা-১২১৪, ইমেইল: achokro@gmail.com, www.achokro.org