মহামারী করোনাভাইরাস পাল্টে দিয়েছে সবকিছু। করোনা মহামারীর কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন শারদীয় ‘দুর্গোৎসব’কে ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে অর্থাৎ এবার কোন উৎসব হবে না, হবে শুধু পূজা।
সেই প্রক্ষাপটে ঈশ্বরদীতে প্রায় অনাড়ম্বরেই হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপুজা। মন্দিরে মন্দিরে পূজার মন্ত্রোচ্চারণ, ধূপ-ধুনোয় ভক্তদের আরতি, ঢাক-ঢোল, কাঁসর-মন্দিরার পাশাপাশি বর্ণাঢ্য আলোকচ্ছটা থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তেমন একটা উদ্ভাসিত হতে পারেনি ঈশ্বরদী পূজামণ্ডপগুলো।তবে দুর্গাপূজায় পূজামন্ডপে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
২৩ অক্টোবর (শনিবার)মহাসপ্তমীর সারাদিন টানা বৃষ্টি হয়েছে। এতে মানুষের সমাগম খুব একটা চোখে পড়েনি। এছাড়া করোনার কারণে বেধে দেয়া বিধি নিষেধ মেনে মন্দিরগুলো প্রায় রাত ৯টা থেকে ১০তার মধ্যেই বন্ধ করা হচ্ছে। নেই কোনো উৎসব, পূজা ছাড়া নেই কোনো বাড়তি আয়োজনও।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পূজামন্ডপের মূল ফটকে প্রাধান্য পাচ্ছে করোনা মহামারী থেকে মুক্তির আকুতি। পূজা মন্ডপে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মা দুর্গার কাছে তাদের একটাই প্রার্থনা করোনা দূর হয়ে যাক, মানুষ সুস্থ জীবন ফিরে পাক।
এবার মহালয়া হয়ে গেছে গত ১৭ সেপ্টেম্বর৷ কিন্তু পঞ্জিকার হিসাবে এবার আশ্বিন মাস ‘মল মাস’, মানে অশুভ মাস৷ সে কারণে এবার আশ্বিনে দেবীর পূজা না হয়ে তা হচ্ছে কার্তিক মাসে৷ পঞ্জিকা অনুযায়ী, ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী বোধন, আজ সপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজার মূল আচার অনুষ্ঠান৷ ২৬ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা৷ পূজা উদযাপন পরিষদের হিসাব অনুযায়ী এ বছর ঈশ্বরদীতে ২৭টি মন্ডপে পূজা হচ্ছে।