শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন

ফের বাড়ছে পেঁয়াজের বাজার দর

বার্তাকক্ষ
আজকের তারিখঃ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন

আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে পেঁয়াজের পুরনো সিন্ডিকেট । গেল বছরের একই সময়ে পেঁয়াজের বাজার উত্তপ্তকারী অসৎ ব্যবসায়ীরা যেকোনও অজুহাতে এবছরও ঠিক সময়ে পেঁয়াজের বাজারকে আবার অস্থির করে ফায়দা লুটতে তৎপর রয়েছেন।এই চক্রটি এরই মধ্যে নানা সময়ে নানা অজুহাতে এ পণ্যটির দাম বাড়িয়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

বিভিন্ন হাট বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। যদিও সরকার অকারণে পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার একদিকে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে স্বল্পমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে,অপরদিকে অসাধু ব্যবসায়ীদের এই সিন্ডিকেটের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি যেকোনও অনিয়মের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা। একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন সুত্রে জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৩ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু প্রতিবছরই স্বাভাবিক নিয়মে উৎপাদিত পেঁয়াজের ৩০ শতাংশ পচে যায়। সে হিসেবে এ বছর পচে যাওয়া পেঁয়াজের পরিমাণ সাড়ে সাত লাখ মেট্রিক টন। এই ঘাটতি মেটাতে ভারত থেকে ১০ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত বন্দর দিয়ে ৮ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।  সেই হিসেবে দেশে এখন পেঁয়াজের কোনও ঘাটতি নেই। সরবরাহেও কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার পাশাপাশি ফরিদপুর ও পাবনায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এ বছরের মাঠ থেকে সব পেঁয়াজ উঠে গেছে মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই। তখনও দেশে করোনার আবির্ভাব হয়নি। ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ১৬ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত সময়ে। তখন পেঁয়াজ কৃষকের ঘরে, ব্যবসায়ীর আড়তে। আর বন্যায় পেঁয়াজের কোনও ক্ষতি করার সুযোগই পায়নি। কারণ বন্যার সঙ্গে পেঁয়াজের কোনও সম্পর্ক নেই। যেসব জেলার ওপর দিয়ে বন্যা বয়ে গেছে সেসব জেলার মধ্যে ফরিদপুর ও পাবনা উল্লেখযোগ্য। কিন্তু এসব জেলার বন্যা পেঁয়াজে প্রভাব ফেলেনি বলে জানিয়েছে ফরিদপুর ও পাবনার জেলা প্রশাসকদ্বয়।

পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন পাবনা পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম। করোনা বলেন আর বন্যা বলেন পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এসব অজুহাত এখানে প্রযোজ্য নয়। কারণ বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসনের টিম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি এবং ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে মাঠে রয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত বন্যায় পেঁয়াজের ক্ষতি হয়েছে এমন কোনও তথ্য পাইনি। কোনও এলাকার মানুষই বলেনি যে বন্যায় তার ঘরের পেঁয়াজের ক্ষতি হয়েছে। কাজেই ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগ সঠিক নয়।’


এই বিভাগের আরো খবর........
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: কপি করার অনুমতি নেই !
error: কপি করার অনুমতি নেই !