পাকশী রেল অফিসের কর্মচারী এনামুল হক জাল স্বারে বিল উত্তোলন ও অফিস সহকারী মামুন-উল-করিমকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় বরখাস্ত হন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পরে তার নামে ওয়ারেন্ট বের হলে আজ ২৪ আগষ্ট পা বনা আদালতে হাজির হয়ে জামিন মঞ্জুর করেন। যেহেতেু আদালত পূর্বেই তার নামে ওয়ারেন্ট জারি করে কাজেই বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে আটক দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করার নির্দেশ দেন।
ওদিকে পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ আব্দুস শহিদ রেল কর্মচারী এনামুল জেল গেটে আটক হয়েছে এ কথা স্বীকার করে বলেন,তাকে রিমান্ডের জন্য অচিরেই আবেদন করা হবে।
ঈশ্বরর্দীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের তৎকালীন বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ (ডিইএন-১) রিয়াদ আহমেদ (বর্তমানে রেলের উপ-পরিচালক) এর সার জাল করে বিল উত্তোলন করার ঘটনা অবশেষে প্রমাণিত হয়েছে । গত দুই মাস তদন্ত করার পর এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাকশীর ডিইএন-১ কার্যালয়ের তৎকালীন উচ্চমান সহকারী (বর্তমানে রাজবাড়িতে কর্মরত) মোঃ এনামুল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপ। গত ২৪ মার্চ এই বরখাস্ত আদেশে স্বার করেন রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মোঃ মনিরুজ্জামান। পাকশীতে বরখাস্ত আদেশের কপি এলে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হয়।
পুলিশ ও রেলওয়ে সূত্র জানায়,স্বার জাল করার ঘটনায় ডিইএন-১ অফিসের স্টেনো মামুন-উল-করিমকে হত্যাচেষ্টা করে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটিয়ে ব্যাপক আলোচিত হন এনামুল হক।
কর্মকর্তার স্বার জাল করে ঠিকাদারকে বিল পাইয়ে দেওয়ার ঘটনা ফাঁস হলে তাকে শাস্তিমূলক বদলী করায় প্রতিশোধ নিতে সে সন্ত্রাসী ভাড়া করে স্টেনো মামুনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় মামুন বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় এনামুল হককে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। গত ২৮ জানুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রেল। রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মোঃ মনিরুজ্জামান এর স্থলাভিসিক্ত বীরবল মন্ডল জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ,থানায় দায়ের করা মামলা ও পুলিশী রিপোর্টসহ সব কিছু বিশ্লেষন করে ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।