করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিন। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এটি তৃতীয় ধাপের লকডাউন।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে এবং রমজান উপলক্ষে নিত্য পণ্যে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। করোনা ভাইরাস ইস্যুতে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং করেছেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পি.এম.ইমরুল কায়েস।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ঈশ্বরদী বাজারের ও দাশুড়িয়া বাজারে বিভিন্ন দোকানে এই মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বর্তমানে দেশের অন্যতম আলোচ্য বিষয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি। কালোবাজারি মুনাফাখোর, মজুতদার প্রভৃতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য দ্রব্যগুলোর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা ভাইরাসকে ইস্যু করে অনেকেই অতিরিক্ত চাল,ডাল,তেল,লবন ও পিঁয়াজ সংগ্রহ করছেন এবং এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য পণ্যের মূল্য বাড়াচ্ছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এ সময় প্রত্যেক দোকানদারকে এই সংকটে পণ্যের ন্যায্য দাম রাখার আহবান জানান। আপনারা এমন কিছু করবেন না যার কারণে পরবর্তীতে আপনাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কেউ যদি পণ্যের অতিরিক্ত দাম রাখেন তাহলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লকডাউন পরিস্থিতে মানুষ অপ্রয়োজনে বাড়ীর বাহিরে বের না হয়। বাজার করতে আসলে সবাই জড়ো হয়ে না থাকে। বাহিরের প্রয়োজন শেষ হলে খুব দ্রুত বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলেন। করোনা ভাইরাসের কারণে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে জনসমাগম এড়িয়ে চলা,সব সময় হাত পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা ,গুজব না ছড়ানো ও গুজবে কান না দেওয়া, নিজে সচেতন থাকা এবং অন্যকে সচেতন থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করার কথা বলেন।