শীতের বিদায় ঘণ্টা বাজার পরপরই মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ঈশ্বরদীবাসী।গরমের সময় এই ছোট্ট প্রাণীটিকে প্রতিরোধ করার জন্যে বাড়িতে বাড়িতে রীতিমত কামান দাগানোর প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সন্ধ্যার আগে আগেই ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়া হয় যাতে মশা আসতে না পারে। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি টাঙ্গানো হয় যাতে মশা তার বিরক্তিকর গান শুনাতে না পারে।
ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিকেল হলেই মশার উৎপাত বাড়ে। কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করলেও মশা যায় না। বাধ্য হয়ে মশারি টাঙাতে হয়। এতে বাসায় চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি হয়।
শেহশাহ রোড এলাকায় আশরাফ আলী বলেন, ‘সন্ধ্যার পরপরই বাসায় মশার উৎপাত বাড়ে। যে পরিমান যন্ত্রণা আমি দেখছি, এতে নিজ তলা থেকে পাঁচ তলা সব জায়গায় একই অবস্থা। মৌচাকের মতো মশার মিছিল, আর যে জায়গায় কামড় দেয় সেই জায়গা লাল হয়ে দাগ পড়ে এবং ফুলে যায়। মশার স্পে ও কয়েল কোনো কাজে আসে না। ’
আশরাফ আলীর মতো একই অভিজ্ঞতার কথা জানান হাসপাতাল রোড়ের বাবু, কলেজ রোডের তামান্না খাতুন।
আশরাফ আলী বলেন এ বছর মশা নিয়ন্ত্রণে এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নি বলে আমার মনে হয়। ঠিক সময় মতো যদি ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয় তাহলে মশা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। তাই এ বিষয় ঈশ্বরদী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তামান্না খাতুন বলেন মশার উৎপাত বাড়ায় ছেলে-মেয়ে ঠিক মতো পড়ার টেবিলে বসতে পারে না।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম শামিম বলেন মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে। ড্রেনে বর্জ্য ফেলা যাবে না, স্রোত থাকতে হবে, ঝোপঝাড়, ফুলের বাগান ও খাল বা পুকুর কচুরিপানা পরিষ্কার রাখতে হবে।