শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

ঈশ্বরদীতে অজ্ঞাতরোগের প্রাদুর্ভাব।।মারা যাচ্ছে মূল্যবান গো-সম্পদ

বার্তা কক্ষঃ
আজকের তারিখঃ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

এস এম রাজা ।। ঈশ্বরদীতে অজ্ঞাত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেখা দেয়ায় গো-সম্পদের মালিকরা ভীষণভাবে আতংকগ্রস্হ হয়ে পড়েছে।

ইতিমধ্যেই ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারীতে আবদুল হান্নান মালিথার ডেইরি ফার্মে প্রায় ৬ লাখ টাকা মূল্যের ৩টি বিশাল গরু মৃত্যু বরন করেছে। আক্রান্ত হয়েছে আরও ৭/৮টি। মৃত গরুর ৩ টিই গাভী। এর মধ্যে একটির পেটে  ৭মাসের বাচ্চা ছিল  ।

উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নেও অজ্ঞাত রোগে গবাদি পশু আক্রান্ত হবার সংবাদ পাওয়া গেছে । কোন ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে কাজে আসছে না বলে বেশ কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন । সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকরাও নাকি সঠিক  রোগ নির্নয় করতে পারেনি বলে মালিথা ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মান্নান মালিথা জানিয়েছেন ।

এই অবস্থায় আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গবাদি পশুর মালিকরা রোগাক্রান্ত গবাদিপশু  বিক্রি করছে বলে বিশ্বস্হ সূত্র জানিয়েছে। এসব রোগাক্রান্ত গবাদিপশু জবাই করে বাজারে মাংস বিক্রি করা হলে ক্রেতারা শারীরিক ভাবে  ক্ষতিগ্রস্হ হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে ।ইতিমধ্যে ঐএলাকার কালাম নামে এক চাতাল শ্রমিকের একটি ষাঁড় অসুস্থ হলে জবাইকরে মাংস বিক্রি করেছে জনৈক মাংস ব্যাবসায়ী। এবিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বর্ষা মওসুমে ব্যাপকহারে কাঁচা ঘাস জন্মায়। এই ঘাসে ছায়ানাইট নামক পয়োজন থাকে।

লোভনীয় সুস্বাদের এই  ঘাস খেয়ে গবাদিপশু অসুস্থ হয়ে  মৃত্যু বরন করে থাকে। কাঁচাঘাস শুকিয়ে খাওয়ালে বিষক্রিয়ার ভয় অনেকাংশেই থাকে না।   এদিকে সদ্য শুরু হওয়া বর্ষা মওসুমের প্রারাম্ভে কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে সচেতন না করলে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে তাই   অবিলম্বে এব্যাপারে জনসচেতনতাসহ প্রয়োজনীয়  পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সচেতন মহলের পক্ষ থেকে দাবী জানানো হয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর........
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: কপি করার অনুমতি নেই !
error: কপি করার অনুমতি নেই !