নিজস্ব প্রতিবেদক // করোনা পরিস্থিতির মুখে ঈদুল ফিতরে ব্যবসায় ব্যাপক ধস হলেও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ দীনের সাধারণ ছুটির পর সীমিত পরিসরে সবকিছু খুলে দেওয়ায় ধীরে ধীরে মানুষ নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। সব মিলিয়ে ঈদুল আজহায় বিক্রিবাট্টা হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই কিংবা ১ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এ উৎসব সামনে রেখে গত ৩০ জুন সরকার পূর্বের সময় বিকেল ৪টার পরিবর্তে সন্ধ্যা ৭টা প্রর্যন্ত বিপণি বিতান খোলা রাখা যাবে বলে জানায়।
এর আগে করোনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর ঈদুল ফিতরের আগে আগে ১০ মে থেকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শপিং মল ও বিপণি বিতান খোলার অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু সে সময়ও করোনার আশঙ্কায় বিক্রি জমে না ওঠায় বেশিরভাগ বিপণি বিতান বন্ধ ছিল।
সারাবছরই ভিড় জমে থাকা বিপণি বিতান করোনা আশঙ্কায় এখনও ক্রেতাশূন্য।কিন্তু আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে এ পরিস্তিতিতে অনেকটাই কেটে যাবে বলে আশা করছেন ব্যাবসায়ীরা। ফলে এ উৎসব ঘিরে নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। রোজার ঈদ ঘিরে আনা নতুন আনা পোশাকগুলোই কোরবানির ঈদে বিক্রির পরিকল্পনা তাদের।এদিকে কিছু কিছু ব্যবসায়ী রোজার ঈদের পণ্যের পাশাপাশি কোরবানির ঈদ মাথায় রেখে নতুন ডিজাইনের পোশাকও আনছেন।
অন্যদিকে অনেকের ধারণা কোরবানির ঈদেও বিক্রি তেমন বাড়বে না।অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউই এখন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রাস্তায় যে মানুষ দেখছেন, সবাই পেটের দায়ে বের হয়েছেন। শখ করে কেনাকাটা করার মানুষের সংখ্যা ৫ শতাংশও হবে না। সুতরাং সামনের উৎসব ঘিরেও লাভ বা ব্যবসা কোনোটাই হবে না। বরং কোরবানির পশুর হাটের মাধ্যমে নতুন করে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।